আমিনুল ইসলাম ঃ
রাজধানীর ডেমরা এলাকার সাদ্দাম মার্কেটে সবজির বাজারে করল্লার দাম জানতে চাইলেন মোসাম্মত নাসিমা আক্তার। কিন্তু প্রতি কেজির দাম ১২০ টাকা শুনেই ঝুড়িতে রেখে দিলেন তিনি।রিকশা চালক মতিন মিয়া দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ‘৫০ টাকার লাউ ৯০ টাকা! খাইলাম না লাউ।’ কথা হলে নাসিমা বলেন, ‘তরিতরকারি যেইডা ধরি, হেইডার দামেই আগুন। শাকপাতাও কিনা খাইতে কষ্ট হইতাছে। এক আডি লাল শাক ৩০ টাকা। তার স্বামী বেসরকারি হাসপাতালে চাকুরী করেন।বেতন ১৬০০০ টাকা, তা দিয়া এত দামে কেমনে কিনুম।’আর বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ,ঘর ভাড়া এসব চুকিয়ে ঢাকা থাকা অসম্ভব।
মাতুয়াইল এর কোনাপাড়া বাজারে লাউ, ঢেঁড়স, গাজর, পেঁপে, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা ও লালশাক কিনতেই বেসরকারি চাকরিজীবী রিফাত মোসলেমের পকেট থেকে ৫০০ টাকার নোট উধাও। আক্ষেপ করে রিফাত বলেন, চালের দাম অত্যধিক বেড়েছে। গরু-খাসি-মাছ দূরে থাক, ব্রয়লার কিংবা ডিমও এখন হিসাব করে খেতে হচ্ছে। সাশ্রয়ী হতে তরিতরকারি খাব, তারও উপায় নেই।
বাজার খরচের অসহনীয় চাপে এভাবেই কষ্টে আছেন রাবেয়া ও রিফাতের মতো ভোক্তারা। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা, যেসব নিত্যপণ্যের ওপর নির্ভর করেন- গত এক বছরে সেসব পণ্যের পেছনে যেভাবে ব্যয় বেড়েছে, তাতে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। কোনটা বাদ দিয়ে, কোনটা কম খেয়ে চলছে এখন সাধারণ মানুষের সংসার। অর্থাৎ প্রয়োজন হলেও কোন পণ্যটি বাদ দিয়ে সংসার চালানো যায়, এমন চিন্তা পেয়ে বসেছে মানুষকে।
কপিরাইট © ২০২৪ (সাপ্তাহিক পিরোজপুর মুক্তবার্তা) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply