মুক্তবার্তা ডেস্ক ঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে,পিরোজপুর সদর উপজেলার লখাকাঠী গ্রামের মোঃসাইদুল ইসলাম নামে এক যুবক আহত হয়,আহত ব্যাক্তি পিরোজপুর বৈষম্য বিরোধী আনন্দলনের অন্যতম সদস্য ছিলেন।সদ্য সমাপ্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন থেকে বাড়ি ফেরার পথে রানীপুর মরিচাল পল্লি বিদ্যুৎ থেকে একটু দূরে মনির এর দোকানের সামনে আওয়ামিলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা রামদা,চাইনিজ কুড়াল, জি আই পাইপ, অগ্নি অস্ত্র সহ অতর্কিত হামলা চালায়। সাইদুল কে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে ঘাড় বরাবর কোপ দেয় সেই কোপ ঠেকাতে গেলে তার বাম হাতের উপর লাগে ও হাত যখম হয় এবং হাতের সার রগ সহ ৮ টি রগ কেটে যায়। সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে , আহতদের সকল চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে মুখে বললেও আসলে দায়িত্ব কেউ নেয় নাই । স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছিলো,আজও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এই আন্দোলনে আহত সাইদুল বলে আমি আন্দোলনে আহত হয়েছি আমার হাতের আটটি রগ কেটে গেছে আমি এখন বলতে গেলে পঙ্গুর মতন আমার হাত দিয়ে কোন কিছু ধরতে বা মুভ করতে পারিনা আমার হাতের কবজি বাঁকা হয় না। আমার হাত দিয়া আর আগের মতো কোন কাজ করা যাচ্ছেনা, ডাক্তার বলছে হাত মোটা মুটি কিছুটা স্বাভাবিক হতে দের থেকে ২ বছর বেশি সময় লেগে যাবে, আমি এই ২ বছর কী ভাবে চলবো আমার বাবা বৃদ্ধ কোন কাজ করতে পারে না, আমার মা নেই আমার বোন থাকে তার মেয়ে নিয়া তার হাসবেন্ড মারা গেছে ৭ বছর, আমি ছাড়া আমার পরিবার দেখার কেউ নাই,আমার আশা ছিলো ভালো একটা চাকরী করবো এখন আমি তো কোন চাকরী পাবো না কারন আমার হাতে সমস্যা আমি কি ভাবে চলবো আমার ভবিষ্যৎ কি হবে??
আমি কিভাবে চলবো? আমার পরিবার কিভাবে চলবে?আমার ভবিষ্যৎ কি তা তো কিছুই বলতে পারতেছি না।
আমি তো ভারি কোন কাজ করতে পারবো না হাত দিয়ে, আমার হাত মুভ করা যায় না কবজি বাকা করা যায় না, এই কষ্টের জীবন নিয়া বেচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো ছিলো,আমার রক্তের দাম কী পাবো আমি, দেশ স্বাধীন করতে গিয়ে নিজেই এখন অচল হয়ে গেছি।
আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে করজোড়ে সাহায্য কামনা করছি। আপনারা আমার দিকে না তাকালে আমার জীবন অন্ধকার সেই সাথে আমার পরিবারেরও। আমি একটা চাকরী চাই যাতে আমার সারা জীবন অসহায় হয়ে থাকা না লাগে। ডাল ভাত খেয়ে বাচতে পারি।