এম এ নকিব নাছরুল্লাহ:-
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সদর সিরাজুল হক গভঃ হাইস্কুল মাঠে নাজিরপুর উপজেলা বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী সমর্থিত ইমাম সমিতির উদ্যোগে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্য ০৯ নভেম্বর (শনিবার) সকাল ১০ ঘটিকার সময় উক্ত হাইস্কুল মাঠে মাসুদ সাঈদীর উপস্থিতিতে, নাজিরপুরের উলামা বিভাগের আহ্বায়ক হায়েজ হাবিবুল্লাহ্ বেলালীর সভাপতিত্বে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা জামায়াতের বাইতুমাল সম্পাদক মোঃ আবু দাউদ, পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ও জাতীয় ইমাম সমিতির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মোঃ জহিরুল হক, ইমাম শাখার পিরোজপুর জেলার সাভাপতি,মুফতি আব্দুল হালিম, উপজেলা জামায়াতের আমির ও উপজেলা ইমাম সমিতি’র প্রধান উপদেষ্টা আব্দুর রাজ্জাক,উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী কাজী মোঃ মোসলে উদ্দীন, শিবিরের সাবেক সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক জামায়াত নেতা হায়েজ হারুন অর রশিদ সহ জেলা ও উপজেলার কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সম্মেলনে প্রধান বক্তা মাসুদ সাঈদী বলেন,শেখ হাসিনা মাফিয়া সরকারের খুনি প্রধানমন্ত্রী বলছেন আগামী ১০ তারিখ সাড়া দেশে আ’লীগের পক্ষে মিছিল হবে,তবে সেটা আ’লীগের ব্যানার ছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের সাথে মিলিত হয়ে ডোনাল ট্রামের ছবি নিয়ে জয়বাংলার স্লোগান দিবে, আর জয়বাংলা’র স্লোগান দিলে পুলিশ প্রতিহত করবে,ছবি নিচে পড়বে, আর সেই দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও করে আমাকে পাঠাবা আমি ট্রাম্পকে দিয়ে দিব, অতঃপর বলব দেখেন বর্তমান সরকার আপনাকে চায় না অপমান করে।
শেখ হাসিনা বিদায়ের পড়েও ষড়যন্ত্র থেমে নেই, আর থামাবেও না বরং আমাদেরই ভুল ছিল ৫ই আগষ্টের পর শেখ হাসিনাকে গণভবনে গাছের সাথে বেঁধে রাখা উচিৎ ছিল। ওখান থেকেই তাদের তৈরি শেখ ট্রাইব্যুনালে আল্লামা সাঈদী সহ বাংলাদেশের নিরীহ নিরপরাধ আলেমদেরকে হত্যার হুমুক দিয়েছিল। পালাতে না দিয়ে তাকে সেই ট্রাইব্যুনালে গাছের সাথে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া উচিৎ ছিল। এখন তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং করতেই থাকবে। তাদের সব থেকে বড় টার্গেট ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যে সব দল বাংলাদেশে কাজ করছে আলেম- ওলামা,ইমামদের দিকেই তাদের প্রধান টার্গেট।
মাসুদ সাঈদী আরো বলেন, ইমামদের একটি বক্তেব্যে একটি সমাজ পরিবর্তন হতে পারে, আপনাদের একটি কথায় মানুষের চরিত্র বদলাতে পারে। আল্লামা সাঈদীর কন্ঠে কুরআন শুনে ১ হাজারের ও বেশি অমুসলিম ইসলাম গ্রহন করছে। দূর্নীতিবাজ অর্থপাচারকারী তারা বসে রাষ্ট্রের চেয়ারে,আর জাতীয় শ্রেষ্ট সন্তান ইমামরা বসে ছোট্ট একটি ঘরে। বাংলাদেশের এই ক্রান্তিকালে ইমাম সম্মেলন অত্যন্ত অর্থবহ এবং গরুত্বপূর্ণ কারন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিন আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদ’দের রক্তের বিনিময়ে। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ এ আমরা কী পেয়েছি ? বাংলাদেশের জনগণ কী পেয়েছে, আমারা দেখেছি মুষ্টিমেয় কিছু নেতার পকেট ভারি হয়েছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে।
অতঃপর সভাপতির সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলনটি সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
কপিরাইট © ২০২৪ (সাপ্তাহিক পিরোজপুর মুক্তবার্তা) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply