1. admin@weeklypirojpurmuktbarta.com : weeklyadmin :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সাংবাদিকতাকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে হবে: প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান কচুয়ায় উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের নামে অপপ্রচার : প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা পিরোজপুরে অভিভাবকদের নিয়ে আশা’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে স্নাতক সমমান স্বীকৃতির দাবিতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।  পিরোজপুরে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মাঝে চেক বিতরণ সাবেক এমপি মহিউদ্দিন মহারাজের ঘনিষ্ঠ যুবলীগ নেতা নাছির গ্রেফতার পিরোজপুর আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন জামায়াতে ইসলামীর বাছাই কৃত কর্মী শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত,  পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএসটির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে মাদক মামলায় ২ জনের ১০ বছরের কারাদন্ড

শাবান মাসের গুরুত্ব ও করণীয়

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৭৪ বার শেয়ার হয়েছে

 

 

লেখা: মাওলানা এম এ নকিব নাছরুল্লাহ

নির্বাহী সম্পাদক:-

 

জরি বর্ষপঞ্জির অষ্টম মাসের নাম শাবান। মাসটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মাসটির নামকরণের প্রতি লক্ষ করলেই এর গুরুত্বের বিষয়টি বোঝা যায়। ‘শাবান’ আরবি শব্দটির অর্থ ছড়িয়ে পড়া। বস্তুত শাবান মাসের আগের মাস, অর্থাৎ রজব মাসে যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ বা হারাম হওয়ার কারণে আরবদের ওই সময়ে ঘরে বসে সময় কাটাতে হতো। আর শাবান মাসের পরের মাস রমজান ছিল প্রচণ্ড গরমের মৌসুম। বিধায় প্রকৃতির রুক্ষতার কারণে রমজানেও তারা ঘর থেকে বের হতে পারত না। মাঝখানের এই মাসটিই ছিল তাদের জন্য জীবিকা উপার্জনের মোক্ষম সময়। তাই তারা এই সময়ে জীবিকার সন্ধানে এই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ত।

 

সুতরাং মাসটির নামকরণ করা হয়েছে শাবান। জীবন ও জীবিকার জন্য আরবদের কাছে শাবান মাসটি যতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ধর্মীয় দিক দিয়ে মুসলিম সমাজের কাছে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর অতীব গুরুত্বের কারণেই রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবানকে নিজের মাস বলে অভিহিত করেছেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছে। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রজব হলো আল্লাহর মাস। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর মাস রজবকে সম্মান করল, সে আল্লাহর বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল। আর যে আল্লাহর বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন। আর শাবান হলো আমার মাস। আর যে ব্যক্তি শাবান মাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল সে আমার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল। আর যে আমার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, কিয়ামতের দিন আমি হব তার অগ্রবর্তী এবং নেকির ভাণ্ডর। আর রমজান মাস হলো আমার উম্মতের মাস। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৫৩২)

 

বস্তুত মাহে রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসেবে শাবান মাসের ফজিলত অনেক বেশি এবং সে উদ্দেশ্যে শাবান মাসে মুমিন মুসলমানের জন্য বেশ কিছু করণীয় রয়েছে। বিশেষ করে ‘শবেবরাত’ মাসটিকে বিশেষ মহিমায় মহিমান্বিত করেছে। মহিমান্বিত এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক মহান সুয়োগ এনে দেয়। ওই রাতে মুমিন বান্দা তার জীবনের গুনাহ থেকে পরিত্রাণ লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ লাভ করে। একটি বছরের দীর্ঘ পরিক্রমা অতিক্রম করে আসা মাহে রমজানে নিরবচ্ছিন্ন ইবাদতকে গতিশীল করতে এবং স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে শাবান মাসে যে সমস্ত করণীয় রয়েছে সেগুলো হলো :- (১) দিন গণনা : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজানের (প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে) শাবানের দিনগুলো গণনা করতে থাকো। (মুসান্নেফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৩০৩, সুনানে তিরমিযি, হাদিস : ৬৭৮, আল-মুজামুল আওসাত, হাদিস : ৮২৪২)। (২) বেশি বেশি করে নফল রোজা রাখা : রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি নফল রোজা রাখতেন। হজরত আয়েশা (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে পুরো মাস রোজা রাখতে দেখিনি এবং আমি তাঁকে শাবান মাসের মতো এত অধিক নফল রোজা অন্য কোনো মাসে রাখতে দেখিনি। (সহিহ আল-বোখারি, হাদিস : ১৯৬৯, সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৫৬, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৩৪, সুনানে তিরমিযি, হাদিস : ৭৩৬)। (৩) নামাজ, রোজা, জিকির, তিলাওয়াতসহ বেশি বেশি নফল ইবাদত করা। যেন মাহে রমজানের আমলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয় এবং গতিশীলতা হারিয়ে না যায়। (৪) স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ করে লক্ষ রাখা। যেন সুস্থ থেকে স্বাভাবিকভাবে গোটা মাহে রমজানের যাবতীয় আমল পালন করা যায়। (৫) শাবান মাসের ১৫ তারিখের পরে আর বেশি নফল রোজা না রাখা। হজরত কাতাদাহ (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজান মাস ও শাবান মাসের মাঝে এক বা দুই দিনের ব্যবধান বজায় রাখো (রোজা রাখা বর্জন করে)। ( মুসান্নেফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৩১৬)। (৬) নফল সাদাকাহ করা : শাবান মাসে বেশি বেশি দান-খায়রাত করা। যাতে সমাজের দরিদ্র শ্রেণির মুসলমানরা প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সংগ্রহ করে মাহে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে। (৭) বেশি বেশি দোয়া করা : মহান আল্লাহর দরবারে রমজান মাসপ্রাপ্তির জন্য বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রজব মাস আরম্ভ হলেই রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, হে আল্লাহ। আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করো এবং রমজান মাস পর্যন্ত আমাদের পোঁছে দাও। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৪৭, মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস : ৬৪৯৬, আল-মুজামুল আওসাত, হাদিস : ৩৯৩৯)

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
February 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031

 কপিরাইট © ২০২৪ (সাপ্তাহিক পিরোজপুর মুক্তবার্তা)  সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি