1. admin@weeklypirojpurmuktbarta.com : weeklyadmin :
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৮:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সাংবাদিকতাকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে হবে: প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান কচুয়ায় উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের নামে অপপ্রচার : প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা পিরোজপুরে অভিভাবকদের নিয়ে আশা’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে স্নাতক সমমান স্বীকৃতির দাবিতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।  পিরোজপুরে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মাঝে চেক বিতরণ সাবেক এমপি মহিউদ্দিন মহারাজের ঘনিষ্ঠ যুবলীগ নেতা নাছির গ্রেফতার পিরোজপুর আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন জামায়াতে ইসলামীর বাছাই কৃত কর্মী শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত,  পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএসটির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে মাদক মামলায় ২ জনের ১০ বছরের কারাদন্ড

রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে চলুন, জীবনে বরকত আসবে

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৫ বার শেয়ার হয়েছে

 

মাও: এম এ নকিব নাছরুল্লাহ পিরোজপুর:-

রমজানুল মোবারক বান্দার জন্য আল্লাহতায়ালার অনেক বড় নেয়ামত। এই মাসের দিবস-রজনীকে আল্লাহতায়ালা খায়ের ও বরকত দ্বারা পূর্ণ করে রেখেছেন।

 

তাকওয়া অর্জনের অনুশীলনের জন্য এবং ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সব আমলের জন্য ভরা বসন্ত বানিয়েছেন। এ মাস শুধু একটি মাসই নয়; বরং গোটা বছরের এটা তাপকেন্দ্র।

এ মাস থেকেই মুমিন গোটা বছরের তাকওয়া-তাহারাতের সঞ্চয় গ্রহণ করে। পুরো বছরের ঈমানি প্রস্তুতি এ মাস থেকেই গ্রহণ করে।

 

 

হাদিস শরিফের ভাষায়, ‘আল্লাহতায়ালার কসম! মুসলমানদের জন্য এর চেয়ে উত্তম মাস আর নেই এবং মুনাফেকদের জন্য এর চেয়ে ক্ষতির মাসও আর নেই। মুসলমান এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সঞ্চয় করে।

নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, এ মাস মুমিনের জন্য গনিমত এবং মুনাফেকের জন্য ক্ষতির কারণ। -মুসনাদে আহমদ ২/৩৩০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৪০

 

সহিহ ইবনে খুজাইমাতেও এই হাদিস (হাদিস : ১৮৮৪) শব্দের সামান্য ব্যতিক্রমের সঙ্গে বিদ্যমান রয়েছে।

 

উপরোক্ত হাদিস থেকে বোঝা গেল যে, রমজানের খায়ের ও বরকত থেকে বঞ্চিত থাকা মুনাফেকির দলিল।

 

আল্লাহতায়ালা আমাদের নেফাক থেকে রক্ষা করুন এবং মুমিনের মতো এ মাসের ইস্তেকবালের (সাদর সম্ভাষণ ও স্বাগত জানানোর) তওফিক দান করুন এবং মুমিনের মতোই এই মূল্যবান সময়কে কাজে লাগানোর তওফিক নসিব করুন।

 

আল্লাহতায়ালা যেমন রমজানকে খায়ের ও বরকত এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের মৌসুম বানিয়েছেন, তেমনি গোটা বছরের ঈমানি শক্তি সঞ্চয়ের কেন্দ্র বানিয়েছেন। এরই সঙ্গে আরও অনুগ্রহ করেছেন যে, এ মাসে সৃষ্টিজগতে এমন অনেক অবস্থা ও পরিবর্তনের সূচনা করেন, যা গোটা পরিবেশকেই খায়ের ও বরকত দ্বারা ভরপুর করে দেয়।

 

হাদিস শরিফে এসেছে, এ মাসে আল্লাহর হুকুমে জান্নাতের সব দরজা খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের সব দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। বড় বড় জিন ও শয়তানকে বন্দি করা হয় এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে- ‘হে কল্যাণ-অন্বেষী, অগ্রসর হও, হে অকল্যাণের পথিক, থেমে যাও। ’

 

এসবের প্রভাবে রমজান মাসে চেতনে বা অবচেতনে ভালো কাজের দিকে আগ্রহ হতে থাকে। সৌভাগ্যশালী ওইসব ব্যক্তি, যারা এই আসমানি প্রেরণাকে মূল্য দেয় এবং সাহস ও হিম্মতের সঙ্গে কর্মের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

 

আমরা যদি রমজানের ফাজাইল সম্পর্কে অবগত হই, তবে বুঝতে পারব রমজান হলো তিজারতের (ব্যবসার) মৌসুম। কিন্তু কোথাকার তিজারত? রমজান হলো আখেরাতের তেজারতের মৌসুম। যে তেজারতের মাধ্যমে মানুষ আখেরাতের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে, যে তেজারতের লভ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাতুন নাঈম, যে তেজারতে সফল হওয়া ছাড়া দুনিয়ার সব তেজারতই শুধু ব্যর্থতা ও ব্যর্থতা।

 

রমজানে দুনিয়াবী তেজারত নিষিদ্ধ নয়, তবে এমনভাবে তাতে মগ্ন হয়ে পড়া যেন এ মাস এই তেজারতেরই জন্য এসেছে- এমনটা ভাবা ঠিক না। বিশেষত ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রমজানের শেষ দশকে যে অবস্থা আমাদের সমাজে পরিলক্ষিত হয়, তা তো খুবই বেদনাদায়ক। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বিক্রিতে মশগুল, আর অন্যরা শুধু পণ্য ক্রয়ে নয়, মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোর পরিদর্শন ও প্রদক্ষিণে মগ্ন, না ফরজ নামাজের জামাতের গুরুত্ব, না তারাবির জামাতে উপস্থিতি, না পূর্ণ তারাবি পড়ার তওফিক। তেলাওয়াত, তাসবিহ, দোয়া ও রোনাজারির (কান্নাকাটি) তো প্রশ্নই অবান্তর। এছাড়াও রয়েছে অশালীন চলাফেরা, যা রমজানের পবিত্রতাকে নষ্ট করে।

 

আমাদের মনে রাখা উচিত, প্রকৃতপক্ষে রমজান হলো, আখেরাতের তেজারতের মৌসুম। এ মাসের সময়গুলো খুব বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা উচিত। অন্তত ফরজ রোজা এবং সুন্নতে মুয়াক্কাদা তারাবির সঙ্গে সেহরির সময় তাহাজ্জুদ, কিছু পরিমাণে হলেও জিকির ও তেলাওয়াত প্রত্যেকেরই করা উচিত। বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যে এতখানি মগ্ন হওয়া উচিত নয় যে, ফরজ নামাজের জামাত ও তারাবি ছুটে যায়। এছাড়া তেজারতে ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা এবং সুদ ও জুয়াসহ অন্য সব হারাম কার্যকলাপ থেকে তো সারা বছরই বেঁচে থাকা ফরজ, রমজান মাসে এর অপরিহার্যতা আরও বেড়ে যায়। কেননা বরকতপূর্ণ সময়ের গোনাহও অত্যন্ত কঠিন ও ধ্বংসাত্মক হয়ে থাকে।

 

তাই আমি দেশবাসীকে আহবান জানাবো, রমজানের পবিত্রতা ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন এবং যথাযথ সম্মানের সঙ্গে রমজান মাস পালন করুন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমীন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
March 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728  

 কপিরাইট © ২০২৪ (সাপ্তাহিক পিরোজপুর মুক্তবার্তা)  সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি