নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট:
বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার অন্তর্গত দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের সাগরকাঠি গ্রামে এক নারীর বিরুদ্ধে বিয়ে ও প্রেমের নাম করে একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শারমিন আক্তার, আবুল শেখের মেয়ে, স্থানীয়ভাবে বর্তমানে “প্রতারক নারী” হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, শারমিন কেবল প্রেমের ফাঁদেই ফেলে থেমে থাকেননি; সে একাধিক ব্যক্তিকে বিয়েও করেছে এবং কিছুদিন সংসার করার পর নানা অজুহাতে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিয়েছে। প্রতিটি সম্পর্কে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, উপহার, এমনকি জমির দলিল পর্যন্ত আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এক ভুক্তভোগী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, “সে আমাকে বিয়ে করে আমার পরিবার থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার মতো নিয়ে যায়। কিছুদিন পর বলে সংসার হবে না, আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে শুনি, অন্য একজনকে একইভাবে ফাঁদে ফেলেছে।”
স্থানীয় লোকজন জানায়, শারমিনের বিরুদ্ধে এমন ঘটনার সংখ্যা ৪-৫ টির বেশি। তবে লজ্জা ও সামাজিক সম্মানের ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। এমন পরিস্থিতিতে এলাকায় নারীদের সম্মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মানুষ মনে করছে, একজনের অপকর্মে পুরো এলাকার নারীদের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের এক সদস্য বলেন, “বিষয়টি এখন শুধু ব্যক্তি নয়, সামাজিক অপরাধের পর্যায়ে চলে গেছে। তার প্রতারণার কারণে অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে, কেউ কেউ আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে বলে শোনা যায়।”
এলাকাবাসী প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেন, “এই প্রতারক নারীকে যদি এখনই আইনের আওতায় না আনা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের সামাজিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আমরা জোর দাবি জানাই—অবিলম্বে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”
কপিরাইট © ২০২৪ (সাপ্তাহিক পিরোজপুর মুক্তবার্তা) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply