আতিকুর রহমান সোহেল(সাতক্ষীরা থেকে ফিরে) ঃ
পিরোজপুর জেলার গণপূর্ত বিভাগের সরকারী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করছেন, সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত কালিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কৃষ্ণনগর – বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মিলনস্থানে অবস্থিত শ্রীরামপুর মৌজার আওতায় ৩০৭ নং খতিয়ানের ৬৭৩ নং দাগের ৪.১৪ একর ( চার একর চৌদ্দ শতাংশ) জমির উপর আধুনিক ছোয়ায় প্রতিষ্ঠিত “টুম্পা মনি ” মৎস্য প্রজেক্টটি। আধুনিক ছোয়ায় মৎস্য প্রজেক্টটি পরিপাটিরূপে প্রস্তুত করা হয় ২০২৩ সালের প্রারম্ভে। সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায়, দৃষ্টি নন্দন প্রজেক্ট এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পানির পাম্প, হ্যালোজেন লাইট, সি সি ক্যামেরা, ট্রাকার, স্পাই ক্যামেরা সেন্সর, মোশন সেন্সর সম্বলিত বিকট শব্দ সম্পন্ন এম্বুলেন্স হর্ণ, যেটা প্রজেক্টের মধ্যে কোনো লোকজন প্রবেশ করলে হর্ণটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বাজতে থাকে অন্যদিকে পরিচালকের মুঠোফোনে মুহূর্তের মধ্যে ম্যাসেজ চলে যায়।
সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, কোন জনবল ছাড়াই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলো শত শত মাইল দূর থেকে সুচারুভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং প্রজেক্টের সামগ্রিক অবস্থা সরাসরি দেখতে পান। লাইটগুলো সেন্সরের মাধ্যমে জ্বলে ওঠে ও বন্ধ হয়। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পানির পাম্পগুলো পরচালকের কর্মস্থল থেকেই চালু ও বন্ধ করণের কাজ সম্পন্ন করেন। এখন তার মৎস্য প্রজেক্ট সহ পাশ্ববর্তী কোন প্রজেক্টে চুরি-ডাকাতি নেই বললেই চলে এবং তার নিকট যোগাযোগ করে জানা যায় যে, চুরি – ডাকাতি হতে পারে, এমন তথ্য তিনি যদি জানতে পারেন তাহলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চোর- ডাকাত আটকানোর বিশেষ ব্যবস্থা স্থাপন করবেন বলে এ প্রতিবেদকের নিকট জানান।
নানা প্রজাতির মাছের সমন্বয়ে তার “টুম্পা মনি” মৎস্য প্রজেক্ট পরিচালনা করছেন কর্মস্থলে অবস্থান করে।
কপিরাইট © ২০২৪ (সাপ্তাহিক পিরোজপুর মুক্তবার্তা) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply