মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট), নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার সাগরকাঠি গ্রামে এক নারীর বিরুদ্ধে উঠেছে বিয়ের নামে প্রতারণা, আর্থিক দুর্নীতি, এবং একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে ফাঁদে ফেলার গুরুতর অভিযোগ। স্থানীয়রা বলছেন, ওই নারী পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ছেলেকে প্রেম ও বিয়ের প্রলোভনে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা এবং গহনা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে সম্পর্ক ছিন্ন করে গোপনে অন্য জায়গায় নতুন ‘টার্গেট’ খোঁজেন।
গ্রামের অন্তত তিনজন যুবক জানান, তারা ওই নারীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই জানতে পারেন তিনি আগেও অন্যত্র বিয়ে করেছেন, যা তিনি গোপন রেখেছিলেন। প্রতিটি ঘটনায় কমবেশি আর্থিক লেনদেন এবং হুমকি-ধামকির অভিযোগও রয়েছে।
একজন ভুক্তভোগী বলেন,
প্রতারক শারমিন আক্তার পিতা: আবুল শেখ গ্রাম সাগরকাঠি ডাক: দৈবঙ্গহাটি থানা মোড়লগঞ্জ জেলা বাগেরহাট
“সে আমার সঙ্গে বিয়ে করে দুই মাস ছিল। তারপর হঠাৎ করে বলে আমি চরিত্র খারাপ। পরে শুনি অন্য একজনের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে। ওর পরিবারও সব জানত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই নারীর আচরণে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে:
১. প্রথমে মোবাইলে বা সামাজিক মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা
২. বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করা
৩. বিয়ের পর স্বামী বা তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা বা গহনা দাবি
৪. দাবি না মানলে ‘মিথ্যা মামলা’ বা ‘মেয়েটি আত্মহত্যা করবে’ এমন ভয় দেখানো
৫. পরে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বা অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রাম্য সালিশও হয়েছে, যেখানে একাধিক ছেলেপক্ষ ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তবে পরিবার পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এতগুলো ঘটনা সত্ত্বেও থানায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ জমা হয়নি। মোড়েলগঞ্জ থানার এক কর্মকর্তা অনানুষ্ঠানিকভাবে বলেন,
“ঘটনাগুলো সামাজিক স্তরে ঘুরছে। আমরা সরেজমিনে কিছু খোঁজ নিচ্ছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।”
প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত অভিযুক্ত নারীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের পক্ষেও কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
কপিরাইট © ২০২৪ (সাপ্তাহিক পিরোজপুর মুক্তবার্তা) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply